মাধ্যমিকে 90% পাওয়ার লক্ষে এগিয়ে যাওয়ার উপায়

ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে মাধ্যমিক তথা class 10 boards এর পরীক্ষা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। স্বভাবতই, মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা বেশ কিছু অনিশ্চয়তা এবং চিন্তার মধ্যে থাকে, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক guidance পায় না। জীবনের এই প্রথম বড় পরীক্ষায় ঠিক কিভাবে পড়তে হবে এবং প্রস্তুতি নিতে হবে এ সম্বন্ধে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীর ধারণা থাকে না এবং গণিত তথা অংক, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অহেতুক ভীতির সঞ্চার করে। ফলস্বরূপ ছাত্রছাত্রীরা অনিশ্চয়তার জন্য সঠিক প্রস্তুতি নিতে পারেনা এবং পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল করতে পারেনা। অথচ, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে তাদের বোর্ড পরীক্ষায় 90% এর বেশি নম্বর পাওয়ার। এবং এর জন্য, তারা তাদের 100% দেয়। কিন্তু, তোমরা কি জানো, শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রমই 90% এর বেশি স্কোর পাওয়ার চাবিকাঠি নয়? হ্যাঁ, তোমরা ঠিকই শুনছো! তোমাদের কঠোর পরিশ্রমের সাথে তোমাকে কিছু স্মার্ট কাজ করতে হবে, যা হতে পারে তোমাদের বোর্ড পরীক্ষায় চমৎকার নম্বর স্কোর করার একমাত্র চাবিকাঠি।
Perfect study plan
Long span ধরে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করবে না । এমন একটা সময়সূচি তৈরি করো, যাতে তোমাদের প্রতিদিনের রুটিন অন্তর্ভুক্ত থাকে । প্রতি 45-50 মিনিট অধ্যয়নে একটু বিরতি যোগ করো । সময়সূচি তোমাকে সমস্ত বিষয়ের ওপর সমানভাবে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে । সময়সূচির সাহায্যে প্রতিটি বিষয়ে নিজের সময় ভাগ করে নিতে পারো । এ ছাড়া, এটি তোমাদের time manage করতেও সাহায্য করবে ।
Sequential Reading
মাধ্যমিকের syllabus কে ছোট ছোট খণ্ডে বা বিষয়ভিত্তিক ভাগ করো । এরপর তোমাদের সময়সূচি অনুয়ায়ী সেগুলো প্রস্তুত করো । এটি তোমাকে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে আরও ভাল এবং গভীরে বুঝতে সাহায্য করবে । ক্ষুদ্র পরিসরে অধ্যয়ন আমাদের অল্প সময়ের মধ্যে বিভাগগুলি বুঝতে সাহায্য করে । অতঃপর পরীক্ষার সময় তোমাদের চাপ কমবে ।
Preparing notes
বোর্ড পরীক্ষায় 90% এর বেশি অর্জন করার লক্ষ্যে সবচেয়ে গুরুৎপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি হলো সঠিকভাবে notes তৈরী । পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে রিভিশন টাইমে শুধু নোটই সহায়ক । এগুলো তোমাকে শেষ সময়ে যেকোনো বিষয়ের quick glance নিতে সাহায্য করে ।
Weightage সন্মন্ধে অবহিত থাকা
Syllabus এর important part গুলি চিহ্নিত করো ও বিষয়সমূহের weightage অনুয়ায়ী সিলেবাসের important ক্ষেত্রসমূহ শ্রেণীবিভাগ করো। প্রথমেই এই বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করলে এবং এর ওপর grasp আনতে পারলে তোমরা সহজেই তোমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে।
Revision
প্রতিদিন তোমাদের কাজের revisionকরো। একই দিনে তোমাদের প্রতিদিনের কাজ revision করো । এটি তোমাদের স্মৃতিশক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে । তোমরা যদি প্রতিদিনের revision কে অবহেলা করো, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়বস্তু ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । প্রতিদিন revision করা শুধু তোমাদের শেখার ক্ষমতাকে তীক্ষ্ণ করে না, বরং তোমাকে এমন আরও lagpoint পরিষ্কারভাবে দেখতে সাহায্য করে যা তোমরা আগে লক্ষ্য করোনি।
Follow textbooks
Main Text book থেকে কোনও ধারণা বা বিষয় ছেড়ে না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত কর । Text book এ শুধু বোর্ড পরীক্ষার জন্য নয়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যও Base content রয়েছে । পাঠ্যপুস্তক থেকে কোনও রেখাচিত্র, উদাহরণ, টেবিল, বা graph বাদ না পরে, কারণ তারা তোমাদের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সমান Important.
Previous years question paper
বিগত বছরের প্রশ্নপত্রের যতবার সম্ভব sample প্রশ্নপত্রের সমাধান করার চেষ্টা করো । এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে । Mock test সমাধান শুধু তোমাকে আরও জোরালোভাবে বিষয় command করতেই সাহায্য করে না, বরং তোমাদের গতি এবং নির্ভুলতার দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে । Sample পেপারের মাধ্যমে অধ্যয়ন করার আরও সুবিধা আছে । এটা তোমাদের দুর্বল দিকগুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে ।
Conceptual build
আবার একটি অধ্যায়ের মধ্যবর্তী বিভিন্ন concept, theorem আলাদা আলাদা পর্যায়ে শেখা জরুরী । কেননা, এক্ষেত্রেও ক্রমবিন্যাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । উদাহরণস্বরূপ, কোন অনুশীলনের ঠিক কোন অংকের পর অন্য অংক করতে পারব তার ধারণা না থাকলে, conceptual fault এর কারণে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়ে ।
এই ধরনের সমস্যার জন্য যথাযথ এবং সঠিক guidance এর প্রয়োজন ।
এছাড়াও, সম্পূর্ণ সুস্থ ও সতেজ থাকাও পরীক্ষা প্রস্তুত একটি অন্যতম অংশ ।
Healthy ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া শারীরিক health এর জন্য ভালো। কিন্তু তোমরা কি বিশ্বাস করো যে এটি তোমাদের মানসিক health এর উপরও প্রভাব ফেলে ! হ্যাঁ, পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার শরীর ও মনের বিকাশের জন্য উপকারী । বোর্ড পরীক্ষার সময় সবচেয়ে বেশি দরকার হয় সুস্থ মন ।
পরীক্ষার সময় নিজেকে energetic রাখা খুবই দরকার । এত দিন পড়াশোনা করার পর তোমাদের শরীরও ক্লান্তি অনুভব করে। তাই 6-7 ঘণ্টার ঘুম দরকার । এটি তোমাকে এই crucial সময়ে তোমাদের শরীর এবং মনের কার্যকারিতা অর্জন করতে সহায়তা করবে ।
সকালের পরিবর্তে রাতে পড়ার চেষ্টা করো, কারণ তোমাকে তোমাদের biological clock এমনভাবে সেট করতে হবে যাতে তোমরা সকালের সময় সবচেয়ে বেশি utilize করতে পারো, কারণ মাধ্যমিক exam সকালের দিকেই হয়।
উপরোক্ত steps গুলি সবার ই কমবেশি জানা । কিন্তু তা সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীরা self doubt এ থাকে - 'আদৌ কি আমার পক্ষে 90% পাওয়া সম্ভব?'
এই প্রশ্নটির বিশেষত আসে পূর্বের পরীক্ষাগুলির খারাপ ফলাফল অথবা ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার over thinking এর ফলে। তবে এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের জানিয়ে রাখা ভালো, পরীক্ষার ফলাফল নির্ভর করে শুধুমাত্র ওই পরীক্ষার প্রস্তুতি ও পরীক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাসের উপর । অযথা নিজের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে পরীক্ষার ফল খারাপ করার কোন যুক্তিই খাটে না ।
আশা করা যায় জীবন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাটিতে তোমরা সহজেই তোমাদের লক্ষ্যে উত্তীর্ণ হতে পারবে ।
Homework Help from Expert Tutors
Upload your homework questions and get video and PDF solutions created by expert tutors. Delivery within 6- 24 Hrs.