উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি : কয়েকটি বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয়
উচ্চ মাধ্যমিক, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা । স্বভাবতই ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই পরীক্ষা নিয়ে যথেষ্ট tension থাকে । বিশেষত গণিতের মতো বিষয়ে, এত বিশাল সিলেবাস কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করা যায় এবং কিভাবে পরবর্তীকালে মক টেস্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় preparation নেওয়ার মাধ্যমে সহজেই ভালো ফলাফল করা যায় তা ছাত্র-ছাত্রীদের জানা থাকে না । এ বিষয়ে, কয়েকটি বিশেষ প্রয়োজনীয় বিষয় মাথায় রাখা দরকার ।
ভুল ও ঠিক
ভুল করার ভয়, এবং "ভুল" বা "ব্যর্থতা" হিসাবে label করা হল অধ্যবসায় এবং Mathematical confidence এর সবচেয়ে বড় বাধাগুলির মধ্যে একটি । যখন শিক্ষার্থীরা ভুলের ভয় করে, তখন এটি তাদের সত্যিকারের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাকে থামিয়ে দেয় । তারা একটি কৌশল apply করতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়, কারণ তারা নিশ্চিতভাবে জানে না যে এতে তারা সঠিক উত্তর পাবে । যেসব পড়ুয়ার গণিতের ওপর দৃঢ় আস্থা আছে তারা ভুল করতে ভয় পায় না । তারা জানে যে ভুলগুলি stepping stone, যা আমাদের শিখতে সাহায্য করে । একজন বিখ্যাত মনস্তত্ত্ববীদ তার mathematical mindset বইয়ে, মস্তিষ্কের গবেষণা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা দেখায় যে, প্রতিবার যখন আমরা ভুল করি তখন কীভাবে আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ু বৃদ্ধি পায় এবং বিকাশ করে । শিক্ষার্থীরা যখন কোনো সমস্যার সমাধান করে এবং সঠিক উত্তর পায়, তখন কোনো নতুন স্নায়ুপথ তৈরি হয় না, অন্যদিকে যখন একজন ছাত্র ভুল করে, তখন মস্তিষ্কের nerve sensitive হয়ে ওঠে ।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনকভাবে, মস্তিষ্কের নতুন neuron গুলি Error করা থেকে তৈরি হয়, এমনকি যখন আমরা জানি না যে আমরা সেগুলি তৈরি করছি । বোয়ালারের গবেষণা আমাদের দেখায় যে পড়ুয়া এবং প্রাপ্তবয়স্করা সবচেয়ে বেশি শেখে যখন তারা চ্যালেঞ্জ করে এবং ভুল করে ।
একটি গণিত শ্রেণীকক্ষে, ভুলগুলিকে "গুরুতর ভুল" হিসাবে গণ্য করা উচিত এবং প্রতিটি ভুলকে একটি নতুন challenge হিসেবে দেখা উচিত ।
গণিত এমন একটি বিষয়, যার অধ্যায় গুলি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত । অর্থাৎ, একটি বিষয় সম্বন্ধে না জানলে হয়তো পরবর্তী অধ্যায় তথা বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা সম্ভব নয় । ঠিক একইভাবে মাধ্যমিকের অধ্যায়গুলিও পরস্পর সম্পর্কযুক্ত । এবং অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের এ বিষয়ে ধারণা না থাকার কারণে অর্থাৎ অধ্যায়গুলির সঠিক ক্রম না জানা থাকার কারণে একটি অধ্যায়ের fundamental concept clear হয় না এবং সেই কারণেই পরবর্তী অধ্যায় গুলিও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিভীষিকা হয়েই রয়ে যায় । অতএব ছাত্র-ছাত্রীদের এ বিষয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, এবং ঠিক কোন অধ্যায়ের পর কোন কোন অধ্যায়ের পঠন করতে হবে তার জ্ঞান থাকা দরকার ।
সময়মতো বিরতি
অনেক ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের ধারণা থাকে, ছাত্র-ছাত্রী যত সময় ধরে প্রস্তুতি নেমে পরীক্ষার ফল হয়তো ততই ভালো হবে । এবং তাদেরই নিজস্ব ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেক সময়ই ছাত্র-ছাত্রীদের একটানা অনেকক্ষণ পড়তে জোর করেন ।
তবে মনস্তত্বগতভাবে ফলাফল ঠিক উল্টোটি হয় । এতে ছাত্র-ছাত্রীদের productivity অনেক কমে যায় ।
এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমত নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে ।
এক ঘন্টার intense study session এরপর 20 min বিরতি নিতে পারে ।
এবার প্রশ্ন থেকে যায় ওই কুড়ি মিনিট ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে utilize করবে । এক্ষেত্রে হয়তো অভিভাবকরা কিছু ক্ষেত্রে ঠিক হয়ে থাকেন । এই অল্প সময়ে বিরতি নিতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল গেমিং এ আসক্ত হয়ে পড়ে এবং তা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয় । এ ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে এবং ওই সময় নিজেদের পছন্দমত creative অথবা relaxing কাজে ব্যয় করতে হবে ।
Basics
আবার একটি অধ্যায়ের মধ্যবর্তী বিভিন্ন concept, theorem আলাদা আলাদা পর্যায়ে শেখা জরুরী, কেননা, এক্ষেত্রেও ক্রমবিন্যাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । উদাহরণস্বরূপ, কোন অনুশীলনের ঠিক কোন অংকের পর অন্য অংক করতে পারব তার ধারণা না থাকলে, conceptual fault এর কারণে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়ে ।
অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীরা গণিতের অধ্যায়গুলির যথাযথ ধারণা না পেয়েই সরাসরি অংকগুলিতে চলে যায় । এতে হয়তো সাময়িকভাবে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে কিন্তু, in a long run এটি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতে challenge এর মুখে ফেলতে পারে ।
এই ধরনের সমস্যার জন্য যথাযথ এবং সঠিক guidance এর প্রয়োজন । এক্ষেত্রে শিক্ষকদের কর্তব্য প্রতিটি পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট অধ্যায়ের আগে Basic concept clear করা ।
#পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অথচ সবচেয়ে অবহেলিত বিষয়টি হল শারীরিক এবং বিশেষত মানসিক( physical and mental health ) বর্তমানকালে ছাত্রছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ বিষয়টি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকে না । এবং পরীক্ষার সুবিধার্থে নিজেদের শরীরের কোন খেয়াল রাখে না ।
Healthy ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া শারীরিক health এর জন্য ভালো । কিন্তু তোমরা কি বিশ্বাস করো যে এটি তোমাদের মানসিক health এর উপরও প্রভাব ফেলে! হ্যাঁ, পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার শরীর ও মনের বিকাশের জন্য উপকারী । বোর্ড পরীক্ষার সময় সবচেয়ে বেশি দরকার হয় সুস্থ মন ।
পরীক্ষার সময় নিজেকে energetic রাখা খুবই দরকার । এত দিন পড়াশোনা করার পর তোমাদের শরীরও ক্লান্তি অনুভব করে । তাই 6-7 ঘণ্টার ঘুম দরকার । এটি তোমাকে এই crucial সময়ে তোমাদের শরীর এবং মনের কার্যকারিতা অর্জন করতে সহায়তা করবে ।
এছাড়াও আরেকটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে ছাত্রছাত্রীরা খেলাধুলা এবং যেকোনো রচনাাত্মক বিষয় থেকে দূরে থাকে ( যেমন গান, ছবি আঁকা) । অথচ এতে ছাত্র-ছাত্রীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে । ironically এই সময়ই আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের এই বিষয়গুলির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় । কারণ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে একটা বিশাল চাপ ছাত্র-ছাত্রীরা অনুভব করে, যা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে । অতএব ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের পড়াশোনার পাশাপাশি co-curricular activities এও involved থাকা প্রয়োজন ।
এই পদ্ধতিগুলি খুব একটা tactical নাও হতে পারে তবে অবশ্যই কার্যকরী । আমাদের মনে রাখতে হবে, এই ছোট ছোট বিষয়গুলি দিয়েই সফলতার ভিত্তি গড়ে ওঠে ।
Homework Help from Expert Tutors
Upload your homework questions and get video and PDF solutions created by expert tutors. Delivery within 6- 24 Hrs.